|
Post by rubelchakaria on Feb 14, 2014 22:57:36 GMT 4
আসুন আমরা কথা-বার্তা বলার কিছু সুন্নাতি আদব-কায়দা জেনে নেই :
১। কথা বলার আগে সালাম এবং দরুদ শরীফ আদায় করতে করতে হাত মুসাফাহ ও প্রয়োজনে কোলাকুলি করা উত্তম কাজ । ২। সর্বদা চেষ্টা করতে হবে হাসি-খুশি চেহারা ও মুসকি হাসি দিয়ে কথা বলতে । ৩। ছোটদের সাথে স্নেহ-আদব দিয়ে এবং বড়দের সাথে শিষ্ঠাচার ও ভদ্রতার ভাব নিয়ে কথা বলতে হবে। ৪। কথাবার্তা বলার সময় উচ্চস্বরে হাসবেন না এবং উচ্চ আওয়াজ করে কথাবার্তা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে । বার বার উচ্চ স্বরে হাসলে এবং বেশি কথাবার্তা বলবে(বাচাঁল) নিজের ব্যক্তিত্ব নষ্ট হয় এবং ভুল কথা বলার সম্ভাবনা বেশি থাকে । ৫। একদিনের বাচ্চা হলেও তার সাথে উত্তম নিয়্যতের মাধ্যমে সুন্দর সম্ভাষণ (বা আপনি ) বলে কথা বলার অভ্যাস করলে নিজের চারিত্রিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে এবং মন হতে গর্ব ও অহংকার কমে আসবে এবং ছোট বাচ্চাও আদব শিখে ফেলবে। ৬। অপরের সাথে কথা বলার সময় বার বার নাক স্পর্শ করা. কানে হাত দেওয়া, থু থু নিক্ষেপ করা, মুদ্রা দোষ (বায়ূ) প্রদর্শন করা ইত্যাদি অভ্যাস নয় এতে অন্যের ঘৃণা সৃষ্টি হয় । ৭। যতক্ষণ পর্যন্ত অন্যের কথাবার্তা চলতে থাকবে ততক্ষণ নিরবে শান্তিপূর্ণ ভাবে শ্রবণ করতে হবে । তার কথা বন্ধ করে দিয়ে নিজের কথা শুরু করা কখনই উচিত নয় । এতে আদবের বরখেলাপ হয় । ৮। কারো সাথে কথা বলার সময় উক্ত ব্যক্তির মনমেজাজ ও তবিয়তের (হাল-হকিকতের) দিকে খেয়াল রেখে উপযুক্ত কথা বলতে হবে । ৯। কারো সাথে কথা বলার সময় তার কথা মনযোগ দিয়ে শুনতে হবে এবং দৃষ্টি তার দিকে নিবদ্ধ করতে হবে । হযরত মওলা আলী ইবনে আবু তালিব(আ.) বলেন- ”যার বাহ্যিক আচরণ শোভনীয় হয় তার অভ্যনতরিণ আচরণও সুনদর হবে আশা করা যায় । ” সতুরাং আমাদের বাহ্যিক আচরণ সুন্দর হওয়া উচিত । আজ এই পর্যন্ত, আল্লাহ হাফেজ
|
|